কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২৬ বিডিআর সদস্য


 বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আসামিদের মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ১২৬ জন বন্দী মুক্তি পাচ্ছেন। এর মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-- ২৪ জনকারাগার পার্ট-- ৮৯ জন এবং হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন ১৩ জন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। বন্দীদের মুক্তির খবরে কারাফটকে ভিড় করেছেন স্বজনেরা।

কেরানীগঞ্জ  কাশিমপুর কারাগারে গতকাল বুধবার বিস্ফোরক মামলার ১৭৮ আসামির জামিননামা পাঠানো হয়। সেসব জামিননামা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকার শর্তে বন্দীদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে২০ জানুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত  যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল--এর বিচারক মোইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাঁদের এই জামিন দেন।

২০০৯ সালের ২৫  ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা  বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের  নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  ছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেনবন্দীর সংখ্যা একটু বেশিতাই তাঁদের বের হতে কিছুটা সময় লাগছে। কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের জমা রাখা মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment

হানি ট্র্যাপে ভারতীয় নৌ কর্মকর্তা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার

  দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সং...