এই ১২ লক্ষণ থাকলে আপনি সম্ভবত এডিএইচডিতে আক্রান্ত


 

এডিএইচডি হলো অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার। সাধারণত শিশুদের বেশি থাকে। তবে স্বাভাবিক চঞ্চলতা আর এডিএইচডিতে আক্রান্ত হওয়া এক কথা নয়। অতিমাত্রায় এডিএইচডিতে আক্রান্ত হলে শিশুকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই সমস্যা অবশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেরে যায়। অনেকে আবার বয়স বাড়লে নতুন করে আক্রান্ত হন এডিএইচডিতে। নারীর চেয়ে পুরুষের এডিএইচডিতে আক্রান্ত হওয়ার হার চার থেকে ছয় গুণ বেশি। এই রোগের কারণ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। তবে বংশগত কারণ বা স্নায়ু রাসায়নিকের প্রভাবে এমনটা হতে পারে। ছোটবেলায় মা-বাবার যথাযথ মনোযোগ না পাওয়ার ফলেও অনেকে এই রোগে আক্রান্ত হন। অনেক পূর্ণবয়স্ক মানুষও এডিএইচডিতে আক্রান্ত। লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিন।

১. সারাক্ষণ অস্থিরতায় ছটফট করা।

২. একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে চাওয়া। একটা কাজ শেষ করার আগেই আরেকটা কাজ শুরু করা। কোনো কাজ ভালোভাবে শেষ করতে না পারা। কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্য করতে না পারা।

৩. মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা। কিছু একটা চিন্তা করতে করতে অন্য চিন্তায় ডুবে যাওয়া।

৪. বসে থাকলে অনবরত পা নাড়াতে থাকা বা টেবিল চাপড়ানো, নখ কামড়ানো, চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা, নিজে নিজে কথা বলা ইত্যাদি।

৫. এডিএইচডিতে আক্রান্তদের কনডাক্ট ডিজঅর্ডার (মিথ্যা বলা, মারামারি, চুরির মতো নিয়মভঙ্গ ও ধ্বংসাত্মক আচরণগত সমস্যা), মুড ডিজঅর্ডার, অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার থাকতে পারে। হুট করে রেগে যাওয়া ও কিছু করে ফেলাও হতে পারে লক্ষণ।

৬. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা। নেতিবাচক চিন্তা করা। কোনো কিছু করার আগেই সবচেয়ে খারাপ কী হতে পারে, তা ভাবতে থাকা।

৭. অগোছালো থাকা।

৮. অসাবধানতার কারণে বারবার ভুল করা, নিয়মকানুন মেনে না চলা, চারপাশের অবস্থা সম্পর্কে হেঁয়ালিপনা থাকা, অতিরিক্ত কথা বলা ইত্যাদি।

৯. কোনো কিছু মনে রাখতে না পারা বা সহজেই ভুলে যাওয়া।

১০. সহজেই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া।

১১. এক স্থানে কয়েক মিনিট স্থির হয়ে বসে থাকা বা ঠান্ডা মাথায় কোনো কিছু চিন্তা করা কঠিন হয়ে পড়া।

১২. সম্পর্ক ভালোভাবে সামলাতে না পারা বা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত সমস্যা তৈরি করা। 

এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।

No comments:

Post a Comment

হানি ট্র্যাপে ভারতীয় নৌ কর্মকর্তা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার

  দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সং...